মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক ও ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে পরিবেশ পাল্টে গেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হার্দিক দেশে ফেরার পর থেকেই দাপট দেখাচ্ছেন। রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে জাঁকজমকপূর্ণ সেলিব্রেশন শেষে যখন তিনি বাড়িতে পৌঁছান, তখন তাকে জাঁকজমকপূর্ণ স্টাইলে স্বাগত জানানো হয়। ইনস্টাগ্রামে ছেলের সঙ্গে কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
ভারতের বিজনেস টাইকুন মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের সংগীত অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে তার ভাই ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, বৌদি পাঙ্খুরি এবং ঈশান কিষাণকেও দেখা গেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী তার স্ত্রী নাতাশাকে কোথাও দেখা যায়নি। দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও নাতাশার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়া হয়েছে একাধিক রহস্যময় বার্তা। আইপিএল শেষ হওয়ার পর থেকেই তার ও নাতাশার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের খবর শোনা যাচ্ছিল।
এর আগে, স্পিন অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়া ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের সময় হার্দিকের প্রত্যাবর্তনের প্রশংসা করে বলেছিলেন যে সমালোচনার ঘূর্ণির মধ্যেও লোকেরা ভুলে গেছে যে তার ছোট ভাইও “আবেগে ভরা মানুষ” ছিলেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর গত মরসুমে আইপিএলে সমালোচনার মুখে পড়া হার্দিক ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা বিশ্বকাপে বল ও ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
আইপিএলের ১৭তম মরশুমে তার দল টেবিলের তলানিতে থাকায় তিনি নিজেও নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। এই নিয়ে ক্রুনাল বলেন, ”গত ছয় মাস হার্দিকের জন্য খুব কঠিন ছিল। সে যা পেয়েছে তা তার প্রাপ্য নয় এবং ভাই হওয়ায় তার জন্য আমার খুব, খুব খারাপ লাগছিল।চিৎকার করা থেকে শুরু করে হুটহাট করা পর্যন্ত লোকেরা তাকে নিয়ে বাজে কথা বলতে শুরু করে। আমরা সবাই ভুলে গেছিলাম যে তিনিও আবেগে পরিপূর্ণ একজন মানুষ।”