১৯৯৪ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন কপিল দেব। এরপর থেকে ভারতের দরকার ছিল একজন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডারের, যে ব্যাট হাতে ম্যাচ উইনারও হবে, আবার বল হাতে উইকেটও নেবে। ইরফান পাঠান থেকে অজিত আগরকর, এমন অনেক নাম উঠে এলেও তারা কেও দুই বিভাগেই শীর্ষে ছিলেন না। ২০১৬ সালে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক হয় হার্দিক পান্ডিয়ার। ব্যাটে-বলে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে হার্দিকের, তা একবার আবার ফাইনালে প্রমাণ করলেন পান্ডিয়া।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের পর নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই ভিডিওতে হার্দিক বলছেন যে আমাদের স্বপ্ন আমরা বরোদা এবং ভারতের জন্যও খেলা। ভিডিওর ক্যাপশনে হার্দিক লিখেছেন, ”বরোদার একটি ছেলে যে তার স্বপ্ন সত্যি করছে এবং তার পথে যা এসেছে তার জন্য সে কৃতজ্ঞ। এর বেশি কিছু চাওয়া যাবে না। দেশের হয়ে খেলা সবসময়ই সবচেয়ে বড় সম্মান।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৪ বলে ২৭ রান ডিফেন্ড করার প্রয়োজন ছিল ভারতের। ২২ বলে অর্ধশতরান করা হেনরিখ ক্লাসেনকে আউট করেন হার্দিক। এখান থেকেই টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যাবর্তনের শুরু। এরপরই শেষ ওভারে ১৬ রান ডিফেন্ড করার টার্গেট ছিল ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের সামনে। সেখানে মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম বিশেষ খেলোয়াড় হার্দিক পান্ডিয়া। তখর যে স্কিল আছে, সেটা সম্ভবত ভারতের কয়েকজন প্লেয়ারের আছে। এর পরেও সবচেয়ে বেশি ট্রোলড ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছেন হার্দিক। ২০১৫ সালে হার্দিক পান্ডিয়াকে কিনে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের প্রথম মরশুমে ছাপ ফেলার পর ২০১৬ সালে ভারতের হয়ে অভিষেকের সুযোগ পান তিনি। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলেন হার্দিক।