এই বছর কলকাতা ফুটবল লিগে প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গল দুরন্ত ফর্মে আছে। এই টুর্নামেন্টে তারা অপরাজিত থেকে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় তুলে নেয়। শেষ ম্যাচে লাল-হলুদ তাদের অন্যতম প্রতিপক্ষ মোহনবাগানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল। সেই ম্যাচে তারা ২-১ গোলে জয় তুলে নেয়। আজ কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা কাস্টমসের বিপক্ষে মাঠে নামে। কলকাতা কাস্টমসও এই বছর অসাধারণ পারফরম্যান্স করছে। তারা শেষ ম্যাচে টালিগঞ্জের বিপক্ষে ৫-১ গোলে জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছিল।
আজ নৈহাটির বঙ্কিমঞ্জলি স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গল দুরন্ত লড়াই শুরু করে। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদের হয়ে জেসিন টিকে একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে কাস্টমসের গোলরক্ষক সুভম সেন শক্ত হাতে একের পর এক আক্রমণ রক্ষা করে কাস্টমসকে ভরসা দেন। ফলে ম্যাচের ১৮ মিনিটে তারা ম্যাচের প্রথম কর্নার আদায় করে নেয়। তবে এই কর্নার থেকে কাস্টমস গোল তুলে নিতে সক্ষম হয়নি। এরপর দুই দলই ম্যাচে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই ম্যাচের ৩২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের সঞ্জীব ঘোষ উজ্জ্বল হাওলাদারের পিছন থেকে বিপদজনক ট্যাকেলের জন্য হলুদ কার্ড দেখেন।
ফলে লাল-হলুদের বক্সের বাইরে থেকে কাস্টমসের হয়ে রবি হাঁসদা একটি দুরন্ত ফ্রি কিক নেন। তবে গোলকিপার আদিত্য শেষ পর্যন্ত দলের বিপক্ষে গোল হওয়া রক্ষা করেন। এরপর আর প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের মুখ খুলতে সক্ষম হয়নি। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সঙ্গে মাঠে নামে। শ্যামল বেশরা ও মোশাররফের পরিবর্তে পিভি বিষ্ণু ও সায়ান ব্যানার্জিকে যোগ দিতে দেখা যায়। এর সঙ্গেই দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল একের পর এক আক্রমণ তৈরি করার চেষ্টা করে। ফলে ম্যাচে সময়ের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলাররা গোল করার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ চলাকালীন একাধিক বিপদজনক ট্যাকেলে অতিরিক্ত সময় নষ্ট হয়। তাই ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৮ মিনিট দেওয়া হয়েছিল। ৯০+২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পিভি বিষ্ণু বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শট করে সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করেন। তবে কাস্টমসের গোলরক্ষক সুভম সেন আজ একাই দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে দুই দলই গোল শূন্য শেষ করে। এর সঙ্গেই ইস্টবেঙ্গল এই বছর কলকাতা ফুটবল লিগে প্রথম ড্র করে কাস্টমসের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হলো।